ঢাবি অভ্যন্তরীন বহিরাগত সমস্যা ক্যাম্পেইনটারে আমার সবসময়ই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বৈধতাসূচক একটা ক্যাম্পেইন মনে হইত৷ “ভাই কি ক্যাম্পাসের?” বইলা যে ছিনতাই, লুটপাট ও ইভটিজিং এর ঘটনাগুলা আমরা শুনতাম সেগুলা তো ওরাই করতো না কি? এ নিয়া আলভীর আকা একটা ছবি এই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ন অংশ ৷ এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়া বিভিন্ন...
সমাজ
এখনো ফাঁকাই ঢাকা। আজকে বেশ বাতাস, গতরাতের কোনখানের কালবৈশাখীর ঠান্ডা রেশ হাওয়ায়। মেয়েদেরকে স্কুলে নামায়া দিলাম। আজকেও অল্প লেইট হইছে। যথারীতি অপার কড়া কড়া বকা দিতেছিল মরমীরে। এক চায়ের দোকানে বইসা চা খাইলাম। দোকানি সমাদর কইরা বসাইলো। চা-দোকানির আচার-ব্যবহার খুব পছন্দ হইল। বিজনেস বোঝে লোকটা। চা, পাউরুটি আর কলা দিয়া...
আমি কবিতা-লেখার আগে থিকাই কবি হিসাবে আসাদ চৌধুরী’রে চিনতাম। উনার কবিতার কারণে না ঠিক, আমাদের এলাকায় একটা প্রোগ্রামে আসছিলেন। স্কুলে পড়ি আমি তখন। অই প্রোগ্রামে এম.সি. (মাস্টার অফ সিরমনি) মানে তখনকার দিনে কইতো – ‘উপস্থাপক’, ছিলাম আমি। তো, স্টেইজে অতিথিদের সিরিয়াস-মুখ নিয়া বইসা থাকতে হইতো তিন-চাইর ঘন্টা। (মোবাইল টিপাটিপি করারও...
বিজ্ঞান যে সংস্কৃতি দিয়ে প্রভাবিত তা স্ব-বিজ্ঞাপিত (সেলফ-এডভার্টাইজড) বিজ্ঞানমনস্করা সহজে মানতে চান না। বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য (পারপাস), আর ফলাফল (প্রোডাক্ট) সংস্কৃতির মধ্যেই নিহিত (এমবেডেড ইন কালচার), সংস্কৃতির সাথে নিবেশিত (এনগেজড উইথ কালচার), এবং সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত (ইনফ্লুয়েন্সড বাই কালচার)। এই যে বিজ্ঞানের পারপাস সংস্কৃতির কারনে আলাদা হইতে পারে, এটার একটা সহজ...
কোন খারাপের বা ভালোর পেছনে কি ‘কারণ’ হাজির হইতেছে সেই ব্যাপারে হুশিয়ার থাকা দরকার। কারণ ‘কারণ’গুলি এজেন্ডানিরপেক্ষ নয়। ‘কারণ’ আবিষ্কার ও উৎপাদনের পিছনে থাকে ইডিওলজিকাল বুনিয়াদ শক্ত করার ধান্ধা। এবং সঠিক ‘কারণ’গুলি এইভাবে ফলস ‘কারণ’গুলির ভেতর ভেনিশ হইয়া যাওয়ার বিপদ তো থাকেই। যেমন ধরেন রেপের কারণ হিসাবে যথেষ্ট পর্দা না...
একাডেমিয়ার দালালি মনে হইতেছে, শবচে ভালো জমে ছাইকোলজিকেল ব্যাপারে! এতোটা ভালো পুরা মেডিকেল ছিস্টেমের ব্যাপারেও জমে না ঠিক! মানে ধরেন, ছুইছাইডের মামলা, মানুশজন দুই চারটা কথা কইতেছে, জার জার মতো বুদ্ধি দিতেছে… কিন্তু কতগুলা লোক এইটা মোটেই শইতে পারতেছে না; শবাই নাকি বালছাল আলাপ পাড়ে, পুরাই বেহুদা, ছেরেফ একাডেমিয়াই নাকি...
আমরা এক মজিদ চিনি, ওয়ালিউল্লার মজিদ। কি করছিলেন উনি? গরিব আছিলেন, পরে বুদ্ধি কইরা একটা মাজার বানাইয়া ফেললেন। ঐখানেই উনি থামলে শেইটা গরিবের ছারভাইভাল ইন্সটিংক্ট হইলো ছেরেফ, ততোটা ভিলেন হইতেছে না। ভিলেন হইতে তার একটা কচি মাইয়া বিয়া করতে হইলো, এইটা তার খাছলতের দোশ, মানুশ হিশাবে বেশ খারাপ দেখানো গেলো;...
১. এই রকম একটা আলাপ দেখা যাইতেছে যে, ফাশট লাইটের বিপদে আজকে পাশে না থাকলে কালকে বিপদ আমার উপর আসবে। এই আলাপটা মনে হয়, “পরথমে ওরা আমার পরতিবেশিরে মারছে, আমি কিছু বলি নাই, তারপর ওরা…” এই জায়গা থেকে আসছে। তো এইটারে আমি পুরাপুরি ভুল বলি না। তবে এর একটা ক্রিটিকাল...
সাজ্জাদ শরিফের প্রশ্নে দিপেশ চক্রবর্তী বলতেছেন, “বাঙালদের নিয়ে রবীন্দ্রনাথও ঠাট্টা করতেন। ছিন্নপত্র–এ তিনি লিখেছেন, ‘ঘোড়ার’ কথাকে বাঙালরা বলে ‘গোরা’র কথা। বাঙাল অ-সভ্য, তাকে সভ্য করতে হবে। ঠাট্টা হলেও ছোটবেলায় এটা আমাদের শুনতে হয়েছে।” বাংলাদেশের মানুষকে অ-সভ্য মনে করে এদেরকে সভ্য করে তোলার দায়িত্ব মেলা আগে থেকেই নিয়ে নিয়েছেন কোলকাতার পণ্ডিত...
১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ-রে যে এখনো ভয়াবহ বইলা ভাবতে পারি আমরা, এর একটা কারণ হইতেছে জয়নুল আবেদীনের স্কেচগুলা। এই ছবি বাদ দিলে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের “অশনি সংকেত” নভেলে কিছুটা আছে। এর বাইরে এই ঘটনার তেমন কোন ডকুমেন্টশন নাই সাহিত্যে, আর্টে। আব্বাসউদ্দিন আহমদ উনার অটোবায়োগ্রাফিতে বলতেছেন কলকাতা ধীরে ধীরে কালো হয়া যাইতেছিল, গেরামের...