‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ যতটা সুদৃশ্য অতটা সুশ্রাব্য না। রূপক আর প্রতীকে ভরা। তথ্যে ঠাসা। চরিত্রগুলি এক একজন জীবন্ত উইকিপিডিয়া যেনো। কিছু জিজ্ঞেস করলেই সিরি-এলেক্সার মতো অনর্গল বলাবলি শুরু কইরা দেয় ভাটির জীবন সম্পর্কে যে যে যা যা কিছু জানে। চরিত্রগুলি কথা একটু কম বললেই বরং নিরব ছবিগুলি অনেক বেশি...
সোশ্যাল মিডিয়া
[২০১৩ সালের শাহবাগের সময়ের শুরুর দিকের একটা লেখা। এইখানে রিপ্রিন্ট করা হইলো।] “পাকিস্তান ডেজার্ট কি মাছলি” বা “ইন্ডিয়ান জনতা কি হনুমান” নামে দল বানাইয়া বাংলাদেশে রাজনীতি করা যাবে কি? যাবে না। নাকি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে “ইন্ডিয়ান জনতা কি হনুমান” দলটাকে রাজনীতি করতে দেবে আর বিএনপি থাকলে “পাকিস্তান ডেজার্ট কি...
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের এই লেখাটা কয়েকদিন ধরে টাইমলাইনে ঘুরতেছে কয়েকজনের মারফতে। কিছু লোক এটাকে কেন্দ্র করে আলাপ দিতেছে বিভিন্নভাবে। পুরা লেখাটার ন্যারেটিভ, যেটাকে সংক্ষেপে ‘রেইস’ (Race)- ধারনার সাথে যুক্ত করা যায়। রেইস নিয়ে বিভিন্ন সময় নৃবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কাজ করছেন। যদিও এখনো এইসব ব্যাপার নিয়ে অনেক অদ্ভূত যুক্তি শুনতে হয়। যাই...
বইটা নিয়া কালচারাল মাঠ গরম। মিডিয়ায় প্রতিদিন খবর হইতেছে, এত এত কপি বিক্রি হইতেছে,অথচ বইয়ের ভেতরের মাল-মশলা বা কন্টেন্ট বিষয়ে কোনো ধরণের আলাপ আপনি মিডিয়ায় পাবেন না। অদ্ভুত না? এই পোস্ট ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইয়ের ১টা অপূর্ণাঙ্গ রিভিউ। অপূর্ণাঙ্গ কারণ লিখতেছি ১ বছর আগের পাঠের ভিত্তিতে। এখনও পড়েন নাই যারা,...
যেইভাবে এই ব্রিফিংটা হ্যান্ডেল করছে ফারদিনের দোস্তরা সেইটা… ঠিকঠাক। কি কি কারণে? ১. উনারা রিয়েলি বলতে পারছেন কি কি জিনিস তাদেরকে দেখানো হইছে এবং কি কি আর্গুমেন্ট শো করা হইছে। যেইটা ডিবি বা রেবেরাও গতদিন বলছে। কিন্তু রিসিভিং এন্ডে যারা ছিল তাদের পার্সপেক্টিভটা পাওয়ায় একটা ফুল পিকচার পাওয়া গেছে। এইটা...
১. কালচারাল ও পলিটিক্যাল মিল-অমিল মু.জা.ই. এবং আ.মু.’র মিল যেমন আছে, অমিলও আছে। মিল’টা হইতেছে দুইজনেই ভালো-মানুশ, সৎ, ভদ্রলোক। আবার অমিল’টা হইতেছে, মু.জা.ই. যতোটা বাকশালি, আ.মু. তা না। কিন্তু যেই মিল’টা ভিজিবল নাই এতোটা সেইটা হইতেছে – বিএনপি-বিরোধিতা। উনারা দুইজনেই বাকশালের ব্যাপারে একই মাত্রায় ক্রিটিক্যাল না হইতে পারেন, কিন্তু বিএনপি...
ঢাকা ভার্সিটির প্রগতীর ধ্বজাধারীরা কনসার্ট ডাকসে। আমি জানি না লোকজন “ব্রেভ নিও ওয়ার্ল্ড” এর দুনিয়ায় থাকে কিনা, যে কোন উসিলায় তাকে যেন প্লেজারের দিকেই যেতে হবে, তাও লোকজনকে মনে করায় দিচ্ছি -শেষ পর্যন্ত কনসার্ট একটা উৎসবই, ভাই। ১৫ সালের হ্যারাসমেন্ট উপলক্ষে যে কনসার্ট দেওয়া হইসিলো, এর কথা তো মনে আছে...
টিওবি নিয়া কথা কওয়ার আগে, গেম থিউরি নিয়া হালকা বাতচিত করা যাইতে পারে মনে হয়। গেম থিউরির মূল সিগনিফিকেন্সটা ডিসিশন মেকিংয়ের ক্ষেত্রে। একটা গিভেন কন্ডিশনে সবগুলা শর্ত বিবেচনায় আইনা বেস্ট ডিসিশনটা নেয়ায় গেম থিউরি কাজে লাগবে। অন্য সকল থিউরি যেইখানে একটা আইডিয়াল সিনারিওর ভিতরে ডেমনস্ট্রেট করতে হয়, সেইখানে গেম থিউরি...
হিউমিলিয়েশন ও মর্যাদারে একলগে একটা ইউনিভার্সাল ঘটনা হিসাবে দেখতে পারলে, এইটারে আর ভেরিয়েবল হিসাবে ডিল করা লাগে না; মানে তখন এইটা আর ডিসাইসিভ ফ্যাক্টর হিসাবে থাকতে পারেনা। এই সোসাইটিতে সবচে বড় বেইজ্জতির ঘটনাগুলি ঘটতে পারে, এখনো, থানায় মামলা করার মধ্য দিয়াই। আপনে যখন পাবলিকলি কারু নামে কিছু কওয়ারে হিউমিলিয়েশন কইতেছেন,...