আবরারের খুনের পর বুয়েট হইতে রাজনীতি নিশিদ্ধের দাবি অদূরদর্শী ছিলো। ওই শময় আরও বেটার দাবি দাওয়া উত্থাপন ও আদায়ের সুজোগ ছিল, আন্দোলনকারিদের। কিন্তু এই দাবি উনারা করছিলো, শুধু ছাত্রলীগরে শমশ্যা মনে কইরা না, বরং লিগবিরোধি, ইন্ডিয়াবিরোধি আলটপকা রাজনৈতিক মতামত প্রদানও যে শমশ্যা শেই বিশয়ে এক ধরনের শিথিল ও আধাশচেতন ঐকমত্য...
দেশ
পটকা ফুটানো কি ভালো না খারাপ? – এই নিয়া একটা আলাপ কয়দিন ধইরাই চলতেছে। কিনতু এইটা কোশচেন হিসাবে ন্যারো এবং মেইন জায়গাটারে আলাপের বাইরে রাখে বইলাই আমার কাছে মনেহয়। বরং কোশচেন’টা হইতেছে যে, বাংলাদেশে কোন ঘটনা সেলিব্রেট করতে চাইলে, কেমনে সেলিব্রেট করবো আমরা? রাসতায় কি বাইর হইতে দিবে? মাঠে, পার্কে...
মাওলানা ভাশাানিরে বুঝতে পারি আমি, তারে লাইকও করি। মাওলানার ঘাটতিগুলা আমার ভিতরেও কম বেশি আছে, তাই বুঝতে কিছু শুবিধাও হয়। এই জামানার পলিটিক্সে জেই হেকমত বা কৌশলের আলাপ দেখেন মাঝে মাঝে, এই হেকমতের শবচে পজিটিভ ভার্শনটা পাইবেন মাওলানার মাঝে; ওনার ভিতর মদে ঘেন্না ছাড়া তেমন কোন ঘেন্না আছিলো না; আজকে...
আমার ধারণা, এ, আর. রহমানের সুরটা শুনলে কাজী নজরুল ইসলাম মোটেই খেপতেন না, বেশি হইলে একটু হাসাহাসি করতেন, এর বেশি কিছু না। এইটা মনে হওয়ার কারণ হইতেছে কাজী মোতাহার হোসেনের একটা অবজারভেশন। (কোটেশনটা লেখার শেষে রাখতেছি।) অইখানে কাজী মোতাহার হোসেন বলতেছেন ‘সামান্য রদবদলে’ তেমন আপত্তি করতেন না কাজী নজরুল ইসলাম,...
ইলিশ মাছের লেজ ফেইসবুকেই কোথাও এইরকম একটা সেমি-ভাইরাল লেখা দেখছিলাম; গল্প বা জীবন-কাহিনির মাঝামাঝি একটা জিনিস হবে; মানে, এইরকম জিনিস দেখা যায় আমাদের সমাজে, সেইটা নিয়া কাহিনিটা বলছেন নেরেটর; যে, উনি যখন শ্বশুরবাড়িতে বউ হয়া আসলেন তখন উনার শাশুড়ি কইলেন, বৌমা, ইলিশ মাছের লেজটা তো কেউ খায় না, তুমি খায়া...
৭ই নভেম্বরের ঘটনাটারে খুবই ন্যারো জায়গা থিকাই এতদিন দেখা হইছে এবং এখনো দেখা হইতেছে বইলাই আমার ধারণা। এস্টাবলিশড নেরেটিভটা হইতেছে যে, স্বাধীনতার পরে আওমিলিগের দুঃশাসন, লুটপাট ও একদলিয়-শাসনের (বাকশালের) কারণে কয়েকটা মিলিটারি ক্যু হইছিল, যার মধ্যে ৭ই নভেম্বর একটা; এই ক্যু’র ভিতর দিয়া জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন, জাসদের লগে বেঈমানি...
ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ প্রশ্ন ফরহাদ মজহারেরা কেমনে মোকাবিলা করেন/ করছেন তার একটা নকশা এইখানে(আমার বক্তব্যের শেশে কোটেশন মার্কের ভেতর) দেখতে পাই। বাকশালও এমনেই দেখে; নকশা এক কিন্তু পজিশন উল্টা, ভারতবাদি। এনাদের এই রেডিকেল, বিপ্লবী, ইন্টারন্যাশনাল চাহিদার ফ্যারে পইড়া বাংলাদেশের নিজেদের পলিটিক্স দাড়াইতে তো পারেই নাই, সেইটা যারা কদাচ করতে গেছে...
‘টিপ অব দ্য আইছবার্গ’- কথাটা খুব চেনাই শকলের, তবু কতগুলা আলাপ ঐ টিপেই আটকাইয়া থাকে, ছামহাউ, নিচে আর নামে না অনেকেই! মানে, কইতেছিলাম আফসান চৌধুরি হইলেন তেমনই একটা টিপ মাত্র, এবং এর নিচে মস্ত একটা কালেকটিভ রুচির আইছবার্গ আছে; বা কইতে পারেন জে, একটা কালেকটিভ রুচি তার কপালে আফসান চৌধুরি...
আমি কবিতা-লেখার আগে থিকাই কবি হিসাবে আসাদ চৌধুরী’রে চিনতাম। উনার কবিতার কারণে না ঠিক, আমাদের এলাকায় একটা প্রোগ্রামে আসছিলেন। স্কুলে পড়ি আমি তখন। অই প্রোগ্রামে এম.সি. (মাস্টার অফ সিরমনি) মানে তখনকার দিনে কইতো – ‘উপস্থাপক’, ছিলাম আমি। তো, স্টেইজে অতিথিদের সিরিয়াস-মুখ নিয়া বইসা থাকতে হইতো তিন-চাইর ঘন্টা। (মোবাইল টিপাটিপি করারও...
পরিবারতন্ত্র বইলা একটা টার্ম দেশের বাংলা মিডিয়ামের ছিভিল ছোছাইটিতে পপুলার হইছিলো; বামাচারি ‘ছহি’ আওমি লীগারদের ভিতর ১৯/২০ ভাবনার মতোই এইটাও বেশ চলে এখনো। কিন্তু এই লোকগুলা জদি পুরাই দুই নাম্বার না হইতো, তাইলে এনাদের তারিফ শবচে বেশি পাবার কথা জিয়ার! কেননা, দেশের ইতিহাশে জিয়া্ই একমাত্র শাশক জেই লোক পরিবারতন্ত্র উতরাইতে...