বুয়েটের স্টুডেন্টরা রাজনিতি বুঝে না তা না..

Share

আবরারের খুনের পর বুয়েট হইতে রাজনীতি নিশিদ্ধের দাবি অদূরদর্শী ছিলো। ওই শময় আরও বেটার দাবি দাওয়া উত্থাপন ও আদায়ের সুজোগ ছিল, আন্দোলনকারিদের।

কিন্তু এই দাবি উনারা করছিলো, শুধু ছাত্রলীগরে শমশ্যা মনে কইরা না, বরং লিগবিরোধি, ইন্ডিয়াবিরোধি আলটপকা রাজনৈতিক মতামত প্রদানও যে শমশ্যা শেই বিশয়ে এক ধরনের শিথিল ও আধাশচেতন ঐকমত্য থেইকা। এইটা পষ্ট হয়, ওই শময় শব কিছু যখন মিটমাট হইয়া গেল, তারপর বুয়েটের অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থিরা শপথ নিলো শন্ত্রাশ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। এখন অশচেতন আপনি হইতে পারেন, কিন্তু এইটা শবাই জানে আওয়ামী বয়ানে বাংলাদেশের পলিটিক্সে শাম্প্রদায়িক শক্তি হইলো ইন্ডিয়াবিরোধি জামাত শিবির (ও এমনকি বিএনপিও অনেক বাম ও বাকশালিদের মতে) এবং আমরা জানি আবরাররে মারা হইছে শিবির শন্দেহে। এমত ব্যাকড্রপে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধি শপথ বুয়েটের আওয়ামী প্রশাসনের তরফ হইতে ইঙ্গিতবহ তৎপরতা ছিল বৈ কি। রাজনীতি নিশিদ্ধের শিদ্ধান্তরে এইশব হইতে আলগা কইরা দেখবে এপলিটিকাল প্রানিরা, কিন্তু আদতে পলিটিকালি এইশব কিছু একটা আরেকটার হইতে বিযুক্ত হিশাবে দেখার শুযোগ নাই।

তখনকার ছাত্রলিগবিরোধি অবস্থানরে রাজনিতি নিশিদ্ধের দিকে ঘুরায়ে নেয়ায় আলাদা কইরা শংগঠন হিশাবে ছাত্রলিগরে তেমন ভুগতে হয়নাই, বরং একটা ‘রাজনৈতিক’ শমশ্যা হিশাবে এভারেজ আউট হইয়া যায় বিশয়টা। ছাত্রলিগের মতন একটা শেইমলেস, লুটেরা শংগঠনের জন্য এইটা জথেষ্ট জয়। পাছা খুইলা মুখরক্ষা আর কি!

তবে, বুয়েটের স্টুডেন্টরা এর এগেইনস্টে একটা কাউন্টার পলিটিক্স যেটা করছিলো সেইটা হইলো, রাজনিতি নিশিদ্ধটারে, ক্যাম্পাস হইতে ছাত্রলিগ দূরে রাখার একটা ধারাবাহিক তৎপরতায় নিয়া গেছিলো। এইরকম পরিস্থিতিতে এইটাই বেস্ট ওয়ে ছিল। ফলে, আওয়ামী লিগরে ভদ্রতার মুখোশ খুইলা ডাইরেক্ট পলিটিক্স রিইনস্টেট করতে তৎপর হইতে হইলো।

এর শাথে শাথে আবরারের এক ধরনের ইরেজারও ঘটবে ননপার্টিজান মেমোরি হইতে। অলরেডি আবরারের কেইসরে র‍্যাগিংএর এক্সট্রিম কেইস হিসাবে দেখার নজরও তৈরি হইয়া গেছে। আবরারের শরনে যে মেমোরিয়াল উনার হলে বানানো হইতেছে, তাতে র‍্যাগিং এর বিশয়টাই প্রধান এইরকম শুনলাম। হোয়াইল র‍্যাগিং ইজ ডেঞ্জারাস টু, কিন্তু আবরারের কেইস যে সেরেফ একটা র‍্যাগিংএর মামলা না, বরং আবরারের রাজনৈতিক মত প্রকাশের এগেইনস্টে একটা পলিটিকাল সংগঠনের সচেতন প্রতিক্রিয়া এইটা বোঝা জরুরি। র‍্যাগিংএর ফ্রেমিং সেইটা হইতে দেয় না। অনেক অনেক আগে বুয়েটে ছাত্রলীগ ছাত্রফ্রন্টের একজন সদস্যরেও(গৌতম) রড দিয়া পিটায়ে আধমরা কইরা দেয়। ইমাজিন, ওইটারেও র‍্যাগিং কওয়া হইতেছে!

শব কিছু মিলায়ে এবস্যোলুট বাকশালে পরিস্থিতি যেমন হওয়ার কথা, তা-ই হইতেছে।

এখন বুয়েটের স্টুডেন্টরা পলিটিক্স বুঝে না এমন না, বরং বাংলাদেশের সমস্ত স্টুডেন্টগোষ্ঠীই এক ধরনের বাকশালি নেরেটিভের ভেতর থাইকা কার্যকর আওয়ামীবিরোধি পলিটিক্সটা ঠাহর করতে পারে না আর। এইটাই সারা বাংলাদেশের মেক্সিমাম ননপার্টিজান ও লেফটলাইনার স্টুডেন্টদের শাভাবিক দশা। আর ডানপন্থি যারা আছে উনারা যে খুব পলিটিকাল বুঝাবুঝির ভেতর দিয়া আওয়ামীবিরোধিতা করেন তা না। বরং ওইটা অদের ইনডক্ট্রিনেটেড পজিশন। ফলে তাতেও রাজনিতি কম, রাগ বেশি।

ইব্রাকর ঝিল্লী

কবি, ক্রিটিক।

  • April 3, 2024