
এখনো ফাঁকাই ঢাকা। আজকে বেশ বাতাস, গতরাতের কোনখানের কালবৈশাখীর ঠান্ডা রেশ হাওয়ায়। মেয়েদেরকে স্কুলে নামায়া দিলাম। আজকেও অল্প লেইট হইছে। যথারীতি অপার কড়া কড়া বকা দিতেছিল মরমীরে।
এক চায়ের দোকানে বইসা চা খাইলাম। দোকানি সমাদর কইরা বসাইলো। চা-দোকানির আচার-ব্যবহার খুব পছন্দ হইল। বিজনেস বোঝে লোকটা। চা, পাউরুটি আর কলা দিয়া নাস্তা কইরা ফেললাম। ফ্রেশ বেকারির গোল বনরুটির টেস্ট পাইলাম অনেকদিন পর।
টং দোকানে আমার একা একা বসতেও খারাপ লাগে না। আশপাশের মানুষের থেকে অনেক কিছু জানা যায়। খবর টবর পাওয়া যায় নানান। একা থাকলে আড়ি না পাতলেও চলে, এমনেই কানে আসে। আজকে ২ জন মেট্রোরেল নিয়া আলাপ করতেছিল। মেট্রোরেল ঘিরা কিছু ইকনোমিক্যাল কায়-কারবার, অদল-বদল হইতেছে হয়তো- সেইগুলা নিয়া কথাবার্তা৷
বইসা বইসা ঢাকার এই সকাল দেখতে ভালো লাগতেছিল। চা টাও বেশ ভালো ছিল, এক কাপের বদলে ২ কাপ খায়া ফেললাম।
আর সব দিনের মতোই একটা নরম্যাল, বড় কোন ক্যাচালবিহীন মানুষের দৈনন্দিন সাধারণ জীবন, রিকশার টুং টাং, গাড়ির হর্ণ, মানুষের হাঁটাচলা দেখতে রিলাক্সড আর সুদিং লাগতেছিল, যেটা এই নগরে রেয়ার।
ফেসবুকের নতুন ইস্যুজ নিয়া মাথা ঘামাইতে ইচ্ছা করতেছিল না। খালি মনে হইতেছিল খামোকা ওয়ালটনের কিছু কর্মীর, কতগুলা মানুষের চাকরি চইলা যাবে হয়তোবা কিংবা তাদের চাকরিতে আসাটাই, এই হুজুগের ফক্কড়ে। কারোর রুটি-রুজির উপরে হামলা করা ঠিক না। এই নগরে বসবাস, টিইকা থাকা তো সহজ বিষয় না!
কঠিন!!
পর্বত ডিংগানোর মতো প্রায় দুঃসাধ্য এই রাজধানীতে সারভাইব করা! এই উত্তপ্ত লোহিত যুদ্ধের সময়ে আরও আরও বেশি।
কেন ফিরা আসি আমরা এইখানে? নিরূপায়, সম্বলহীন, বল-ভরসাহীন আর স্বস্তিবিহীন একটা দশায় বার বার!?
Leave a Reply