কফি হাউজ

ফেছবুক আর ইউটিউবে বেশুমার কিলিপ দেইখাই, কোন একটা ছিংগেল পাটও না দেইখা আমি মোটামুটি ফেরেন্ডস আর বিগ ব্যাঙ থিয়োরির আগাগোড়া বুইঝা ফেলছি! এবং তাতে ফেরেন্ডসের নটনটিদের লাইক করছি, আর বিগব্যাঙ থিয়োরির ইহুদি হাওয়ার্ড ছাড়া কোন ক্যারেক্টারই পছন্দ হয় নাই আমার; তবে রাজের বাপেরে রিয়াল ফানি লাগছে বটে! বাকি শবাইরে বেশ শ্যালো লাগছে, অতি ওভার দ্য টপ!
এনিওয়ে, ফেরেন্ডসের চ্যান্ডলার মরলো কয়দিন আগে, ছ্যাড 🙁 !
আবারো এনিওয়ে 🙂 , মর্ডান বাংলা গান জারা শুনছেন, তাগো ভিতর কফি হাউজের মস্ত একটা আপিল আছে, আমিও হাজার বার শুনছি লাইফে, এখন আর না শুনলেও। গত কয় বছরে বহুবার কফিহাউজ লইয়া ভাবছি আমি, গানটা না আর না শুনলেও! মনে পোশ্ন গজাইছে, এই গানটা কেন মর্ডান এজুকেটেড বাংগালি বাদে, শমাজের নিচের দিকে কোনই আপিল পয়দা করতে পারে নাই!?
এই জে মস্ত আপিল আর কোন আপিলই পয়দা করতে না পারা, এইটা খুব শম্ভব আমাদের আমির-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিতের বিচ্ছেদের ইতিহাশের মস্ত নিশানা একটা!
কিন্তু এতো আপিল লইয়াও বাংলায় দোস্তি লইয়া ভালো কোন ছিরিয়াল, নাটক, ছিনামা কি বানাইতে পারলাম আমরা! না মনে হয়।
ফেরেন্ডসের থিম ছংটাও ভালো লাগে আমার; কিন্তু আন্দাজ করি, ইংরাজিতে জারা কথা কয়, ঐ গানটা তাগো ভিতর মিলনের নিশানা বরং, বিচ্ছেদের না!
ফেরেন্ডসের গানটা খুবই বর্তমানের, কফি হাউজ হইলো নস্টালজিয়া; কফি হাউজ ডিপ্রেশন পয়দা করে, আর ফেরেন্ডসের থিম ছং হইলো ভরশার, থাকার।
ভাশার ব্যাপারে আমার কতক চিন্তা থাকলেও কফি হাউজের বেলায় কইতে হয়, ঐটা আমজনতার মোটামুটি একছেছিবল বাংলাতেই লেখা, তবু আপিল পয়দা করতে পারলো না ঐটা! খুব শম্ভব, ঐ ডিপ্রেশন, নস্টালজিয়া এবং মিউজিকেও শেইটা শমান বইতে থাকার কারনেই অমন ঘটলো! ওদিকে, অতিত লইয়া অতো ভাবার টাইম কই আমাদের বিচারে শেই ছোটলোকদের, ঐটা তো তাগো কাছে বিলাশ, খোদ ডিপ্রেশনই হয়তো লাক্সারি তাদের কাছে! বা ধরেন, তারাও তো মনমরা হয়, বিচ্ছেদে আউলা হইয়া রাস্তায় নামে! আর আমরা ফুর্তিতে রাস্তায় থাকি, ডিপ্রেশনে ঘরে ঢুইকা কফিহাউজদের শুনতে থাকি…
এই শব উতরাইয়া আমাদের ফেরেন্ডস হওয়া দরকার…
Leave a Reply