টিপ অব দ্য আইছবার্গ

Share

‘টিপ অব দ্য আইছবার্গ’- কথাটা খুব চেনাই শকলের, তবু কতগুলা আলাপ ঐ টিপেই আটকাইয়া থাকে, ছামহাউ, নিচে আর নামে না অনেকেই! মানে, কইতেছিলাম আফসান চৌধুরি হইলেন তেমনই একটা টিপ মাত্র, এবং এর নিচে মস্ত একটা কালেকটিভ রুচির আইছবার্গ আছে; বা কইতে পারেন জে, একটা কালেকটিভ রুচি তার কপালে আফসান চৌধুরি নামের টিপ পইরা বইশা আছে, এবং কপালটা এতোই বড়ো জে, কপাল আর দেখা জাইতেছে না, টিপটাই দেখতেছেন ছেরেফ!

এইখানে বরং দাওয়াত দিয়া আনি আরেকটা লোক–হজরত হিরো আলোম। কয় বছর আগে একটা ছবি (দ্যাখেন) ভাইরাল হইছিলো হিরো আলোমের। এই ছবি ছড়াইছে ইনডিয়া থিকা, খুব শম্ভব, তখন গুগোল ছার্চে ছালমান খান হাইরা গেছিলেন হিরো আলোমের কাছে।

তো, ছবিটার ভিতর আলবত বাংলাদেশকে রিডিক্যুল করার একটা মতলব আছে, কতক বাংলাদেশি তাতে খুব শরমিন্দাও হইছিলেন এবং বাংলাদেশের পোলাদের ছবি জে ‘হিরো আলোম’ না, শেইটা খুব কইতেছিলেন এবং বাংলাদেশের মাইয়ারাও জে হিরো আলোমের পিছে দৌড়ায় না, শেইটাও।

এখন হিশাব করলেই বুঝতে পারবেন, এইটা জদি দেশের বাইরে বাংলাদেশের পোলাদের ছবি হয় আর আফসান চৌধুরি জদি বাংলাদেশের পোলা, তাইলে ওনার কেমন লাগার কথা? খাড়া নাকের ধরা এরিয়ান বইলা জাদের দেমাগ, তারা এই হিরো আলোমের তলে পইড়া কেমন থাকবেন?

এইখানে খেয়াল করা দরকার জে, হিরো আলোমে জারা নাক ছিটকায়, তারা আশলে তার গান বা অভিনয়ে নাক ছিটকায় না আদৌ, জদিও শেইটাই কইয়া থাকেন তারা; তারা নাক ছিটকায় হিরো আলোমের গতরে। এখন হিরো আলোমরে নিয়া বাংলাদেশ ফুটবল বা কাবাডি দলে খাড়া করাইয়া দ্যাখেন তো, একটু আন্ডারওয়েট মনে হওয়া বাদে গড়ের লগে মিলতেছেন কিনা?

এখন হিশাব করেন, বাংলাদেশ আশলে কি, আর আফসান চৌধুরি জেই কালেকটিভের টিপ, তাগো বাংলাদেশ কি বা আদৌ আছে কিনা তাগো বাংলাদেশ এবং কোন বাংলাদেশে তারা শরমায়?

তারপর ভাবেন, এই আলাপ উতরাইয়া আশলে কি করা দরকার আমাদের? আমি কইবো, আমাদের দরকার হাজার হাজার গতরের হিরো আলোম বানানো, শরমিন্দা হইলে তাগো গতর লইয়া না, তাগো আর্ট-অভিনয়-গান লইয়া শরমিন্দা হইতে পারেন কতক এবং এই হিরো আলোমেরে টেরায়্যাল ধইরা হয়তো ৮৮৭ নাম্বার হিরো আলোমে জাইয়া বেটার আর্ট পাইতে পারবো আমরা! কিন্তু মোস্ট ইম্পর্টেন্ট হইলো, এই গতরকে মাইনা লওয়া; এইগুলা লইয়া আগেও কইছি, আবারো কই–তামিল রজনিকান্ত জদি বলিউডি অমিতাভে শরমিন্দা হইতো, তামিলেরা জদি শরমিন্দা হইতো, কলিকাতার উত্তমের মতো জদি পুচকেমনা হইতো, তামিলের দশাও তাইলে কলিকাতার মতোই হইতো এবং রজনিকান্ত থিকা হিরো আলোম বেশি দুরের কেউ না। এইখানে বাংলাদেশের রাজনিতির ব্যাপারে আমার একটা পুরানা আন্দাজও কইয়া রাখি–আফসান চৌধুরিরা জিয়ারে একজন পলিটিশিয়ান হিশাবেই জে মানতে পারে না, তার বড়ো কারনটা গতরেই, জিয়াও খাটো এবং কালা, বরং এরশাদে ওনাদের ভক্তি হয়, এরশাদের গতরে ওনাদের নিজেদের লোক লাগে, শরম লাগে না… শামরিক-টামরিক, এইগুলা ভুয়া…

//১৬ অক্টোবর ২০২৩

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

  • October 16, 2023