জন ফসি কোন ধরনের লেখা লেখেন?

জন ফসি (উচ্চারণ ঠিক করে পড়তে পারেন) কোন ধরনের লেখা লেখেন?

এই নভেলাটা (ALISS AT THE FIRE) পড়তেছি। হাফ পড়ছি। আজই হয়তো বাকিটা শেষ হবে। এইটা গত বছর বুকারে লংলিস্টেড ছিল।

উনি একটা স্ট্রিম অফ কনশাসনেস ইউজ করেন।

যে উপন্যাসিকা পড়তেছি, তাতে কোন ফুলস্টপ নাই। অন্যান্য বিরাম চিহ্ন আছে। কোন প্যারা নাই।

কোন ডায়ালগে এপস্ট্রপির মধ্যে নাই। মানে কি?

মানে আপনাকে ধীরে ধীরে একটা ভাবনার পুকুর থেকে সাগরে নিয়া ফেলবে। একজন লোক ভাবতেছে, যেমন আপনি একা একা ভাবেন, ‘এমন হইলো কেন? অমনও হইতে পারতো? কেন হইলো না? হয়তো না হওয়াই ঠিক আছে। আমি কফি খাইলাম কেন? চা কেন খাইলাম না?’ আপনি যখন এইভাবে ভাবেন,তখন আমাদের সাবজেক্টিভ ‘সময়’ এক রকম বন্ধ হয়ে থাকে।

সেই রকম একটা স্তব্ধ সময়ের ভেতর দিয়ে শোক, স্মৃতি, অতীত, বর্তমান উঠে আসতে থাকবে।

কোন প্লট তৈরি করে নাই উনি। প্লট যেন চিরায়ত। মানুষের তাতে কোন হাত নাই। মানুষ প্লট তৈরি করতে পারে না-এই রকম একটা ভাইব পাবেন। যেন আমরা শুধু ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে উপলব্ধি করি। প্লটের মধ্যে বাস করি।

আমাদের শহীদুল জহিরের প্লট আর হিউমার/স্যাটায়ার বাদ দেন যদি, আর সাথে সিরিয়াস ভঙ্গিমা নেন, তাহলে ওইরকম রিপিটেটিভ। বারবার একই ভাবনা পাক খাইতে থাকে। শহীদুল জহিরে ‘আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস’ অবশ্য ওইরকম বিরাম চিহ্ন ছাড়া একটা গল্প।

আপনি ভিজুলাইজ করতে গেলে খুব ডার্ক টোন পাবেন। আমার মনে পড়তেছিল বেলা তারের ‘দা তুরিন হর্স’ সিনেমার ভিজুয়াল কন্ডিশন। স্ট্যাটিক এন্ড ডার্ক। এত কম কালারড যেন প্রায় সাদাকালো কোন ফ্রেমে তিনি গল্প বলতেছেন।

পুনরাবৃত্তি প্রচুর। এক ‘থিংক’ শব্দ তিনি এক উপন্যাসে এতবার ব্যবহার করছেন যে,কারো পুরা লিটারেচারে হয়তো অতবার ইউজ হয় নাই।
ফিলোসফিকাল টোনে মানুষের কোন এজেন্সি আমি খুব একটা পাই নাই। অন্য লেখায় থাকতে পারে। মানুষকে একটা অসহায় কচুরিপানার মত লাগতে পারে।

লেখা অবশ্যই ভাল। কিছুটা এক্সপেরিমেন্টাল। তবে সবার ভাল লাগবে – এইটা বলা কঠিন। সিরিয়াস পাঠক লাগবে পড়তে।

সিরিয়াস ভঙ্গির বাইরে যে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয় না,সেইটা বজায় আছে। লাইট টোনেও যে মানুষের ডিপেস্ট জায়গাগুলা ধরা যায়, সেই ধারণায় অদ্যবধি নোবেল কমিটি বোধহয় আস্থা রাখে নাই। কোনদিন রাখবে, আশা করি। তখন হয়তো রুশদি বা মুরাকামির মত রাইটাররা নোবেল পুরষ্কার কর্তৃক রিকগনাইজড হবে। না হইলেও সমস্যা নাই।