কেলাশ এইটের পরে বুঝিবা আপোশের ছবক শুরু হয়!

Share

পরিবারতন্ত্র বইলা একটা টার্ম দেশের বাংলা মিডিয়ামের ছিভিল ছোছাইটিতে পপুলার হইছিলো; বামাচারি ‘ছহি’ আওমি লীগারদের ভিতর ১৯/২০ ভাবনার মতোই এইটাও বেশ চলে এখনো।

কিন্তু এই লোকগুলা জদি পুরাই দুই নাম্বার না হইতো, তাইলে এনাদের তারিফ শবচে বেশি পাবার কথা জিয়ার! কেননা, দেশের ইতিহাশে জিয়া্ই একমাত্র শাশক জেই লোক পরিবারতন্ত্র উতরাইতে শাচ্চা কদম ফেলছিলেন। শেই কারনেই জিয়া খুন হবার পরে বিএনপি’র হাল ধরে নাই জিয়া ফেমিলির কেউ।

আরো একটা ভুয়া দাবির কড়া জবাব দিয়া গেছেন জিয়া। দাবিটা এমন: কোন একটা দল খমতায় থাকলে পরের ইলেকশনে জনতা তারে আর ভোট দেবে না বাংলাদেশে, দেশের বড়ো দল দুইটা এতোই আকাম করে খমতায় থাকলে। কিন্তু দেখা গেলো, হজরত জিয়ার খুনের পরে বিএনপির হজরত সাত্তার পেছিডেন হইতেছেন ইলেকশনে এবং উনি জিয়ার শালা বা দুলাভাই বা ভায়রা লাগেন না! আরো দেখার ব্যাপার হইলো, ঐ ইলেকশনটা ১৯৭৩ [৭মার্চ কিন্তু 🙂 ] বা জিয়ার হা/না ভোট বা এরশাদের ১৯৮৬ বা ১৯৮৮ বা খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারি বা ২০১৪ বা ২০১৮ শালের ইলেকশনের মতো বাতিল ইলেকশন না মোটেই! [আন্দাজ করি, কিছু লোক জিয়ার মরনের পরে জনতার ছিম্প্যাথি’র কথা তুলতে চাইবে, কিন্তু লগে লগে মনে পইড়া জাবে জে, আগেও দেশের পেছিডেন খুন হইছেন, তখনকার জনতার রিয়েকশন মনে পইড়া জাবে তাদের, তখন কথাটা গিলে ফেলবেন 🙂 ।]

তাইলে পরের ইতিহাশটা অমন আউলাইয়া গেলো কেমনে? এর জবাব হইলো, এরশাদ। পেছিডেন সাত্তারকে খেদাইয়া এরশাদ দেশের ইতিহাশ আউলাইয়া দিছে।

কিন্তু বছর দশেকের ভিতর এরশাদের বিদায় লইতে হইছে। এবং বিদায় লইতে হইতো না খুব শম্ভব! কেননা, এই নয়া বাকশালি রেজিমের মতোই কবি-লেখক-আর্টিশ কিনা গুলশানের খোয়াড়ে রাখতে পারলো, পলিটিশিয়ানদেরও কিনা ফেলতে পারলো, কেনা গেলো না কেবল হজরত খালেদা জিয়ারে। তাই পরিবারতন্ত্রের আরেকজন ১৯৮৬ শালে নিজেরে এরশাদের কাছে বেচলেও টিকতে পারলো না এরশাদ, খালেদা শেই খারাপেরেও ১৯৮৮ শালে বেটার পলিটিক্স করতে বাদ্ধ করতে পারলো, নিজেরে না বেইচা!

খালেদা আরেকটা আপোশহিন কাম করছিলেন তখন; ১/১১’র ঘটনা লইয়া আওমি লিগ কতো কথা কয়, কিন্তু জেলে কি নিতে পারলো কাউকে? আর্মিরে নাকি জেলে ঢুকানো জায় না! কিন্তু এরশাদরে ঠিকই জেলে ঢুকাইতে পারছিলো খালেদা [ছাড়লো কে?]।
কিছু দিনেই খালেদা মরবেন খুব শম্ভব; আমি খুব চিন্তায় আছিলাম, মরার আগে দখলদারের পায়ে ছেজদা দিয়া ফেলেন কিনা! কিন্তু না; বাকশালিদের তুমুল শয়তানির পরেও খালাশ পাবার লোভে মাফ চাইয়া দরখাস্ত করেন নাই।

দোয়া করি, দেশের শবচে বেশি হিম্মতঅলা আর শবচে বেশি টর্চার্ড পলিটিয়ান মহিলা জেন অমন হিম্মত থাকতে থাকতেই মরতে পারেন। ইতিহাশে এমন হিরো থাকা দরকার, আগামির বাংলাদেশের পলিটিক্সে হিম্মতের ফোয়ারা হিশাবে।

এমনিতে অলরেডি হইয়াই আছেন, অমন ছিক দশায় জেই বেহুশিয়া ঘটে, তাতে ঐ শরিলে শেই খালেদার আর থাকার কথা না তো! এখন ছেজদা দিলেও শেইটা খালেদার ছেজদা না, আর কেউ আর কারো দরকারে ওনার শরিলটা এস্তেমাল করতেছে মাত্র…

রক মনু

কবি। লেখক। চিন্তক। সমালোচক। নিউ মিডিয়া এক্সপ্লোরার। নৃবিজ্ঞানী। ওয়েব ডেভলপার। ছেলে।

  • September 18, 2023