
এমেরিকার স্যাংশনের বার্তায় বিএনপির কেয়ারটেকার মুভমেন্ট খোয়া যায় না। এইটা দিয়া এইটাও বোঝায় না বিএনপি এমেরিকার উপর এক্সক্লুসিভলি ডিপেন্ডেন্ট। বিএনপির পলিটিক্স ঠিক আছে। এমেরিকার পসিবল স্যাংশন আর কেয়ারটেকারের আন্দোলন আলাদাই। বিএনপি পাবলিকের লাইনেই আছে। কিন্তু গবমেন্ট কেন পাবলিকেরে পুছবে? গবমেন্ট যদি পাবলিকেরে পুছতোই তাইলে ভোট তো ঠিকঠাকই হইত। পুরা জিনিসটাই হইতেছে একটা পলিটিকাল সিস্টেম এস্টাব্লিশ করা যেইখানে গবমেন্ট, এখনকারটা এবং ভবিষ্যতেরগুলা, পাবলিকেরে পুছবে। এইটার জন্যই বিএনপির প্রোগ্রাম। সেইখানে পলিটিক্স হিসাবে এমেরিকাদের ইনভলব করা ইম্পর্টেন্ট। কারণ মাফিয়া বাকশালাইটেরা এমেরিকায় আটকা। এইটা ট্যাকটিকালি ঠিকই আছে।
আমার যেইটা কনসার্ন সেইটা হইলো, এইটা মেইবি এনাফ হবে না। এবং সেইটা বিএনপির পলিটিক্সের সমস্যা না। মানে এইসব প্রেশার ট্রেশার দেয়ার উদ্দেশ্য যে একটা আন্দোলনরে আগায় নিয়া যাওয়া, সেই আন্দোলনটারে আগায় নিয়া যাবে যে মূল পলিটিকাল ফোর্সটা, গত চোদ্দ পনের বছর জেল জুলুমের ভেতর থাইকা এই ফোর্সটা ইন্টেন্স হইতে পারে কি না, সেইটা হইল ইশু। এই সব আন্দোলন আল্টিমেটলি পলিটিকাল ক্লাসেরই কাম। সেইখানে পাবলিক যুক্ত হয় ওভারটাইম বাট, যেটা বলে সকল পিপলই আন্দোলনে যুক্ত হবে, সেইটা ট্রু না। কোথাওই না। কখনোই না। এমনকি এরশাদের সময়ও যে মনে হইছে সবাই নামছে, আসলে সবাই নামে নাই। এরশাদের সময় যেইটা হইছে সকল কোয়ার্টারের পলিটিকাল ফোর্স কনসিস্টেন্টলি মাঠে ছিল। আন্দোলনটা হইছে জোট হইয়া। ছিয়ানব্বইতেও তাই। ফলে মাঠ কখনো ফাকা থাকেনাই। সকল পার্টিরে জুলুম কইরাও পারা যায় না। আর জালিমের লিস্টে এরশাদের চেয়ে এই রেজিম আরও ব্রুটালও। কথায় কথায় গুলি করে। পত্রিকা টিভিতে সেই খুন নিয়া কথাও হয় না কোন। সবাই মিলা ব্লান্টটা নিয়া যেমনে এরশাদরে এগজস্ট করা গেছে, ওইটা এখন নাই। এখন পলিটিকাল ফোর্স হিসাবে মাঠে কেবলই বিএনপি। অন্য অনেক বিরোধী পক্ষ থাকলেও, তারা একইসাথে বিএনপির বিরোধী হিসাবেও কার্যকর। এইটাই ইশু। এমেরিকা ডিপেন্ডেন্সির কারণে মুভমেন্ট দূর্বল হবে না। কারণ ওই ধরনের কোন ডিপেন্ডেন্সি নাইই আসলে। ওইভাবে বইলা নেরেটিভের ফ্লো আওয়ামী খাতে নিয়া যায় বাকশালি প্রোপাগান্ডিস্টরা।
এই রকম আঠারো নিয়াও আছে যে বিএনপি কামাল হোসেনে ধরা। অথচ যে কোন অবজেক্টিভ বিবেচনায় কামাল হোসেনরে ভেহিকেল হিসাবে ইউজ করার যে ডিসিশন, ইট ওয়াজ জিনিয়াস। মানে আওয়ামী লীগের আন্ডারে একটা ইলেকশন কেমন হইতে পারে এইটা ডেমনস্ট্রেট করার ভেতর দিয়া আওয়ামী লীগের পলিটিকাল ডেথ হইছে। মানে ১৫ আগস্ট যদি না ঘটতো তাইলে আওয়ামী লীগের যে অবস্থা হইতো পলিটিকালি সেইটা ডেমনস্ট্রেট করাটা ছিলো ইতিহাসের কাছে একটা দায়ের মত। বিএনপি সেইটা পারছে। কিন্তু এইটারে লোকজন নানাভাবে ডাউনপ্লে করে। ডাউনপ্লে করে ১৪ এর ইলেকশনে বিএনপির পার্টিসিপেট না করার মুভটারেও। কিন্তু ১৪তে ওইটাই রাইট ডিসিশন। মানে বিএনপির শক্তি বিবেচনাতেও রাইট ডিসিশন আবার ইডিওলজিকালিও- অর্থাৎ একটা দল ইলেকশন মেনিপুলেট করার জন্য কনস্টিটিউশন চেঞ্জ করে নিতেছে, এই অবস্থায় কেন আপনি ওই দলের আন্ডারে ইলেকশন করবেন? হোয়াই?! জাস্ট তখন আপনার এনাফ মাইট আছে কুস্তি কইরা পাওয়ারে যাওয়ার, এই কারণে? বরং আপনি শক্তিটারে ইউজ করবেন গবমেন্টরে ডিসিশন চেইঞ্জ করাইতে; ইডিওলজিকালি ওইটাই বেটার। কারণ ওইটা এই মেসেজ দেয় যে গবমেন্ট জাস্ট ইচ্ছা হইলেই কনস্টিটিউশন চেইঞ্জ কইরা সারাকাল পাওয়ারে থাকার পায়তারা করতে পারে না।
তো এগুলিরে যে একভাবে বিএনপির ‘ভুল’ হিসাবে দেখার চোখ এইটা হইছে বাংলাদেশের পলিটিকাল ল্যান্ডস্কেপটারে আওয়ামী লীগের জমিদারি হিসাবে বোঝার কারণে। যে ল্যান্ডস্কেপের ভূমিপুত্র হইলো আওয়ামী লীগ। বিএনপি এরা হইলো আউটসাইডার। যেইখানে আওয়ামী লীগরে নেচারাল ধইরা বাকিদের পলিটিকাল ওউনারশীপ ও এজেন্সির হিসাবনিকাশ হয়।
এখন এর মানে এই না যে, বিএনপির কোন ভুল থাকতে পারে না। আমার কথা হচ্ছে বিএনপির পলিটিকাল ‘ভুল’ ‘ঠিক’ জাজ করার জন্য যে পলিটিকাল ক্লাইমেট থাকতে হবে আপনার, ওরফে, যে ডেমোক্রেটিক পরিস্থিতি থাকা দরকার, ওইটা কই? হাউ ডু ইউ নো?
Leave a Reply