
রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পরে বিল আসলো ৩৩৫ টাকা। ৫০০ টাকার নোট দেয়ার পরে ১৬০ টাকা ফেরত দিল। মানে, ৫ টাকার কয়েন/নোট নাই রেস্টুরেন্টে। আর এইটা এইরকম নরমালই যে বলারও তেমন দরকার নাই এখন।
মুদির দোকানে কিছু জিনিস কিনলাম বিল আসলো ১৮৮ টাকা। (১০০ টাকার দুইটা নোটে) ২০০ টাকা দিলাম। ১০ টাকা ফেরত দিল। সাথে কোন লজেন্স/চকলেটও নাই! 🙂 মানে, ২ টাকা তো কেউ চায় না এখন!
আরেক দোকানে ১৯২ টাকার জিনিস ১৯০ টাকা রাখল। ২ টাকা যে কম রাখলো, সেইটা বলতেও চায় নাই; কিন্তু ১৫ টাকার জিনিসে তো আর ৫ টাকা কম রাখা যায় না, কইলো খুচরা ১০ টাকা বা ২০ টাকা দেন! ১০ টাকা, ২০ টাকার নোট থাকে পকেটে। দেয়ার পরে অনেক খুঁইজা ৫ টাকার একটা কয়েন ফেরত দিল।
এখন এই ৫ টাকার কয়েন নিয়া বিপদই, ভিক্ষাও দেয়া যায় না! দিলে, কিছু কয় না, কিন্তু মুখ কালা কইরা রাখে; মানে, ৫ টাকা দিয়া কি কিনা যায়! একটা বনরুটি/বাটারবানের দামও তো মিনিমাম ১০ টাকা।
১ টাকার, ২ টাকার তো দাম-ই নাই দুই-চাইর বছর ধইরাই; এখন ৫ টাকার ভেলুও নাই হয়া যাইতেছে আসলে বাজারে।
মানে, আমরা বড়লোক্স হইছি না! 😎
আর খেয়াল কইরা দেখেন, ১০০ টাকার নিচে তেমন কোন ট্রানজেকশনই করা যাইতেছে না। পুরাই বড়লোক আমরা এখন!
.
(দুই)
বিকালে এক রিকশা-রাইডের ভাড়া ছিল ১৫ টাকা; ২০ টাকা দেয়ার পরে সে হাইসা দিল। কইলো, পাঁচ টাকা কই পামু! তার হাসি ছিল সুন্দর। তারপরও বিকালবেলা বইলা কথা।
সন্ধ্যার পরে আরেক রিকশা-রাইডে ভাড়া চাইলো ৩০ টাকা। কইলাম, ২৫ টাকা দেই! রাজি হইলো। আসার পরে ৫০ টাকার নোট দিলাম। সে ৩০ টাকা ফেরত দিল। কিন্তু আমার কাছে তো ৫ টাকার নোট/কয়েন নাই! সে মাইনা নিল। মানিবেগ খুঁইজা দেখলাম ২ টাকার একটা নোট পাইলাম। কইলাম, এইটা নেন! সে কইলো, থাক! লাগবো না! তার মুখ ছিল অন্ধকার। লোডশেডিংয়ের কালো রাত চারপাশে তখন।
এখন ৫ টাকার একটা কয়েন খুঁজে বাইর করছি। ৫ টাকা, তোমারে হারায়া যেতে দিবো না আমি! এইরকম ভাবতেছি তারপর।
Leave a Reply