
পাওয়ারকে জারা ডিনাই করে, কোন এক কারনে দেশের আতেল-বয়াতিরা গড়পরতা তাগো লাইক করে। কেন এমন?
আমি এইটার উল্টা; মাওলানা ভাশানিরে জে ওনারা লাইক করেন, তার একটা কারন পাওয়ারকে মাওলানার ডিনাই করাও! এবং ঠিক ঐ কারনেই মাওলানায় আমার কিছু নাপছন্দ আছে! ১৯৫৪ শালে মাওলানা কেন ছোরাবর্দির পজিশনটা চাইলেন না? আমার একটা আন্দাজ হইলো, মাওলানা ইংরাজি ভালো জানতেন না, নিজের ভিতরের শেই ইনফিরিয়রিটিও একটা কারন!
কিন্তু পাওয়ার ডিনাই করাটা কেন আমার নাপছন্দ এবং দেশের আতেল-বয়াতিদের কেন পছন্দ, শেইটা বুঝতে চাই।
আমার নাপছন্দ কারন, আমার একিন হইলো এমন: জার হাতে কখনো পাওয়ার আছিলো না, মানুশ হিশাবে তারে চেনা খতম হয় নাই আমার, আর জারে চিনলাম না, তারে পছন্দই বা কেমনে করবো!
ওদিকে, জারা পাওয়ার ডিনাই করে, কেন করে তারা, মোটিভ কি? অন্তত ৩ টা মোটিভ দেখি আমি।
ক. নিজের পাওয়ারকে নিজেই ডরান কেউ কেউ, পাওয়ার না থাকা একজন ভালো লোক পাওয়ারফুল হইলে কি না কি কইরা ফেলেন, নিজেরই শন্দেহ থাকে, নিজে আর ভালো নাও থাকতে পারেন, শেই ডরে পাওয়ার ডিনাই করতে পারেন।
খ. পাওয়ার থাকা মানে ইনছাফ কায়েমের বাড়তি দায়িত্ত বর্তানো; আর ইনছাফ কায়েমের দায়িত্ত জার কান্ধে পড়বে, তার দুশমন পয়দা হবে, খারাপের একটিভ নাপছন্দ পাইবেন তিনি। এই জে কেউ কেউ তারে ভালো কইতেছে না, এইটা তারা নিতে নারাজ; শবার কাছে ভালো হইতে হইলে পাওয়ার লওয়া জাবে না হাতে।
গ. পাওয়ার হয়তো শামলাইতে পারবেন না তিনি! মানে খারাপের লগে জুদ্ধে হাইরা জাইবেন, কনফিডেন্স নাই। পাওয়ার বাদে জদ্দিন বাচা জায়, জতোটা নিরিহ ভালো কাম তারা করতে পারবেন, পাওয়ার হাতে লইলে হয়তো ঐগুলাও করতে পারবেন না, কয়েকদিনের ভিতরেই মরবেন।
এখন ভাবেন, এই ৩টার জেকোন একটা জদি আপনের ব্যাপারে হাজির থাকে, আপনে হয়তো ভালো, আপনে হয়তো মানুশের ভালো করেন, দরদি, কিন্তু আপনে কি নায়ক? না। আপনে নায়ক না এবং মানুশ হিশাবে আপনের পরিক্ষা হয় নাই!
কিন্তু এই ৩টা কারন আছে কি নাই, তা বোঝার উপায়ই না থাকতে পারে কারো ব্যাপারে, তবু শে নায়ক হইতে পারে! কেননা, পাওয়ার ডিনাই করার মওকাই হয়তো শে পায় নাই! ছেরেফ টুরুথ আর ইনছাফের পক্ষে খাড়াইয়াই আপনে নায়ক হইতে পারেন। তেমন একজন নায়ক আছিলেন জেছাছ।
রাছুল মোহাম্মদের লগে তুলনা কইরা জেছাছরে আগাইয়া রাখে খিরিস্টানরা, বা অন্নরাও কেউ কেউ; তাদের একটা লজিক এই পাওয়ারের মামলার ভিতর! রাছুল মোহাম্মদ জে শাশক হইছেন, এই ঘটনাটা তাগো নাপছন্দ! এনাদেরই ভাবনার ছানাপোনা দেশের ঐ আতেল বয়াতিরা! পাওয়ার হাতে লইয়া কেউ একজন ইনছাফ কায়েম করতে পারলো কিনা, শেইটা তারা ভাবতে নারাজ, খোদ পাওয়ারকেই ডিনাই করতে হবে তাগো নজরে ভালো হইতে হইলে! কিন্তু আমি অমনে ভাবি না, আমার হিশাবে রাছুল মোহাম্মদ বরং মানুশ হিশাবে আখেরি পরিক্ষা দিছেন এবং গোল্ডেন এ+ পাইছেন!
শুরুর এই লম্বা আলাপটা দিয়া আমি ডাক্তার জাফরুল্লা চৌধুরিরে বিচার শুরু করতে চাই! জাফরুল্লা চৌধুরিকে কে শবাই খুব তারিফ করতেছেন, এইটা খুব একটা ভালো ব্যাপার না আমার মতে! মানে উনি আশলে পাওয়ার ডিনাই করা লোক এবং মানুশ হিশাবে ওনার আখেরি পরিক্ষা হয় নাই!
এখন, ওনারে তারিফ করলে আমার তেমন কোন লাভ-লোকশান নাই, কিন্তু শকলের এই তারিফের ভিতর দিয়া আশলে পাওয়ার ডিনাই করতেই ফুশলানো হইতেছে বইলা মনে হয় আমার, এবং আমার আপত্তিটা এইখানে! পাওয়ার ডিনাই করতে ফুশলানো একটা বেশ খারাপ ব্যাপারই মনে হয় আমার! এইটা একজন পছিবল খারাপ মানুশকে ভালো হিশাবে বহাল রাখতে চায়, পাওয়ার জে খারাপের দখলে চইলা গেল, খারাপের দখলেই আছে, শেইদিকে ততো নজর দেয় না! জে ভালো, তার পছিবল খারাপির ডরের চাইতে খারাপের দখলে থাকা পাওয়ার ভালোর দখলে নিতে পারা বেশি দরকার, আমি এমনে ভাবি!
আমার হিশাবে দেখি, হজরত চৌধুরি পাওয়ার হাতে লইয়া খারাপের লগে জুদ্ধে টিকতে পারবেন না বইলা কনফিডেন্সের একটা ঘাটতিতে ভুগতেন! তাই নিজের লিমিটের ভিতর থাইকা কতটা নিরিহ ভালো করা জায়, তাতেই মন দিছেন। জিন্দেগির একদম আখেরি পাটে আইশা ‘আমারে আর কি করবে’, ‘এই বয়শে আইশা কিছুই আর হারাবার নাই’– এমন কতগুলা ভাবনা থিকা ইনছাফের পক্ষে খাড়াইতে নামছেন ময়দানে, কিন্তু জখন হারাবার আছিলো, তখন ততোটা নামেন নাই [ধরেন, বাকশালের ব্যাপারে ওনার পজিশন কেমন আছিলো, তখন উনি কি করছিলেন?], বরং নিরিহ শব ভালোতেই মন দিয়া রাখছিলেন!
এতখনে আপনাদের মনে হইতে পারে জে, আমি বুঝি বা হজরত চৌধুরির নিন্দামন্দ করতে লিখতেছি! না। আমিও ওনারে লাইক করি আশলে, পাওয়ারের ব্যাপারে ওনার পজিশনে একটু আনইজি লাগলেও! তার কারন খুবই আরেকটা!
চৌধুরি শাবের জনম ১৯৪১ শালে, তার ৫/৬ বছর আগে জনম লওয়া আরেকজনরে চিনতাম আমি, এই দুইজন লোক মিলাইয়া ভাবছি আমি, তাতে ঐ জেনারেশনের আনকানশাছের ব্যাপারে আমার কিছু আন্দাজ পয়দা হইছে!
ঐ আনকনশাছের হদিছ লইতে আমাদের খুব শম্ভব ইংরাজের বেংগল ভাগ করার ব্যাপারে একটু নজর দিতে হবে। ইংরাজ বেংগল ভাগ হবার মানে কি?
শারা দুনিয়ায় জেমন, বাংলাদেশেও তেমনি একদল লোক আছে জারা মেরিটোকেরেছির পক্ষে ওকালতি করেন; তেমন দুয়েকজন বাংলাদেশি চিনি আমি জারা কিনা ইংরাজ বেংগলের ভাগ হবার পক্ষের লোক! মানে, এই দুইটা পজিশন বেশ উল্টা উল্টা লাগে আমার! মানে ইংরাজ বেংগল ভাগ হওয়াটা আশলে একটা কোটা ছিস্টেম বানানো, মেরিটোকেরেছি থিকা বাইরায়া জাওয়া! আর কলিকাতা বেংগলের ডিভিশন ঠেকাইতে জারা হুলাহুলি করলো তারা মেরিটোকেরেছির পক্ষের লোক! দেখা জাইতেছে, মেরিটোকেরেছির উকিলেরা কখনো কখনো কোটা লাইক করে, এস্পেশালি জখন শেই কোটা হয় তাদের তরে!
কোটা ভালো নাকি মেরিটোকেরেছি, এই ব্যাপারে ডিছিশন লইতে হইলে আমাদের পোশ্নটা আশলে আরেকটা পয়েন্টে করতে হবে! মানে মানুশের শমাজের মনজিল কি? শমাজের মনজিল জদি হয় একটা মেশিনের বেস্ট ভার্শন, তাইলে এব্ছলুট মেরিটোকেরেছি দরকার। কিন্তু শমাজের মনজিল তা হওয়া উচিত না, শমাজের মনজিল হইলো, ইনছাফ এবং শান্তি, বেকুবেরো শুখের হক মাইনা লওয়া এবং এন্তেজাম করার চেশ্টা করা, খোড়া-আন্ধা-বুড়াদেরো জতদিন শম্ভব বাচাইয়া রাখা এবং এইগুলা কোটা দিয়াই শম্ভব, ছেরেফ মেরিটোকেরেছি দিয়া হবে না! দুইটারে ম্যানেজ করা আশলে ছিম্পলই; মানে, আপনে মেডিকেলে ভর্তি হবার বেলায় কোটা দেবেন, কিন্তু পরিক্ষার খাতা দেখার বেলায় দেবেন না, পাইলট হবার মওকা দেবেন কোটায়, তারপর মেরিটোকেরেছি দিয়া পাইলটদের র্যাংকিং করবেন, পেলেন চলবে মেরিটোকেরেছি দিয়া। একজন খয়রাতির বাচ্চা জেন মেরিটোকেরেছির ভিতর ভালো করতে পারে, তার শর্তগুলা পুরন হইতে মদদ দেবেন, তার খাওয়াপরার ছিস্টেম করতে পারেন। পুরা ব্যাপারটারে এমনে ভাবা জায়: এমন একটা মেরিটোকেরেছি দরকার আমাদের জাতে কোটা ম্যানেজমেন্টে শবচে বেশি ইনছাফ কায়েম করা জায়!
এনিওয়ে, ইস্ট বেংগলের ঐ কোটা তুইলা দেওয়া হইলো ১৯১১ শালে, কলিকাতার হুলাহুলির ঠেলায়। ইস্ট বেংগলে পয়দা হওয়া খাজনা ইস্ট বেংগলে খরচ হইতে দিতে নারাজ তারা, ইস্ট বেংগলের পয়শায় জেই বাইজি নাচাইবেন জমিদার, শেই বাইজি ইস্ট বেংগলের হইতে পারবে না, হইলেও তারে কলিকাতায় থাইকা নাচতে হবে কলিকাতারই জলশাঘরে।
ইংরাজ বেংগলের ডিভিশন রদ হওয়ায় কিলিয়ার হইলো, নেটিভ আমলাতন্ত্র আর আতেল বয়াতিদের পাওয়ার কতটা! এবং ইস্ট বেংগলের ঐ পলিটিকেল ডিফিট ইস্ট বেংগলের কনফিডেন্স একটু নড়বড়ে কইরা দিয়া জায়। এবং আমি আন্দাজ করি, তার আছর পড়ে পরের জেনারেশনে!
ইংরাজ বেংগল আবার এক হবার ভিতর দিয়া হিন্দুস্তানের মর্ডান পলিটিক্সে ভায়োলেন্স মাস্ট হইয়া ওঠে! পরের ৩৫ বছর বেশুমার ভায়োলেন্স পাইলাম আমরা। কলিকাতা আর কংগেরেছের ভায়োলেন্সের লগে টক্কর দেবার দায়িত্ত নিলো মুছলিম লিগ, কিন্তু কলিকাতাই আমলাতন্ত্রের লগে টক্কর দেবে কে?
কলিকাতাই নেটিভ আমলাতন্ত্রের লগে টক্কর দেবার ভাবনা থিকাই ঢাকা ভার্ছিটির (ঢাভা) পয়দা, নবাব ছলিমুল্লা জমিন দিলেন, ঢাকা ভার্ছিটি হইলো। এবং এইটা ঠেকাইতে চাইলো কলিকাতা; এইখানে খেয়াল করার ব্যাপার হইলো, কলিকাতা কিন্তু মেরিটোকেরেছি চাইতেছে! চোখা নজরে চাইলে দেখবো আমরা, কলিকাতার ঐ মেরিটোকেরেছি শুরুই হইছে শংস্কৃত জানা আপার কাস্ট হিন্দুর ভিতরে, তারা শেইটারে মজবুত করতেই ঢাকা ভার্ছিটিরে ঠেকাইতে চাইতেছে।
এইখানে আমাদের আরো খেয়াল করতে হবে জে, ছেরেফ হিন্দু ভাবলে হবে না, আপার কাস্ট হিন্দু–কলিকাতাই বামুন আর কায়েত! ঢাকা ভার্ছিটিতে পুবের হিন্দু ছাত্র আছিলো মেলা, ছেরেফ মোছলমানের ভার্ছিটি আছিলো না ঐটা! এমন জে হবে, তা কি কলিকাতা জানতো না? জানতো, এবং তারপরও ঢাভা ঠেকাইতে চাইছে তারা।
তো, ইতিহাশের এই খুপড়িতে রাইখা জাফরুল্লা চৌধুরিদের আনকনশাছ বোঝার চেশ্টা করতে কইবো আমি।
পলিটিক্সে জে ভায়োলেন্স ঢুইকা গেছে শেইটা ঐ জেনারেশনের পুবের বাংলার শিক্ষিত লোকেরা পছন্দ করতো না, কিন্তু তার ইতিহাশে ঐটার জরুরত কেন হইছিলো, তা ঠিকই বুঝতো! ইংরাজ গেলো, পাকিস্তান হইলো, তখন আবার নয়া মুছিবত হাজির হইলো; পাকিস্তানের ছিভিল-মিলিটারি আমলাতন্ত্রেও বাংলার লোকেরা পোকামাকড় ছেরেফ! এমনকি বাংলাদেশ হবার পরেও তালুকদারি শাশন থিকা মুক্তি ঘটলো না, বরং বাকশালের ভিতর দিয়া আরো মজবুত হইতে চাইলো! একটা পিছফুল ইলেক্টোরাল পলিটিক্স পাওয়া গেলো না।
ঐ জেনারেশন তাই নগদ পলিটিকেল খোয়াব দেখতে পারে নাই, তারা পারবে না বইলা মাইনা নিছে, নিতে হইছে তাদের! হিরো হইতে হইতেও তারা পুরা হিরো হইতে পারে নাই ঐ ছাইকোলজিকেল দুর্বলতা বা টোরোমার কারনে! তারা তাই আগামির পলিটিক্স করছেন; তাদের আনকনশাছ তাদের চালাইছে, হয়তো পুরা খোয়াবটা তাদের কাছেও কিলিয়ার আছিলো না, ছাইকোলজিকেল দুর্বলতা তো একটা শরমের ব্যাপার, গেলানি, তাই পুরা কিলিয়ার হইতেও চায় নাই হয়তো!
বরং ভিতরে ভিতরে, নিজেদের বেখেয়ালেই তারা ভাবতো বুঝি, আমরা জদি শিক্ষিত মানুশ বানাইতে পারি, ভালো ভালো শিক্ষিত মানুশ, তারা ধিরে ধিরে আমলাতন্ত্র দখলে নেবে, আস্তে আস্তে জনতার খাদেম হইয়া উঠবে আমলাতন্ত্র, ধিরে পলিটিক্সও হয়তো তাদের দখলে নিতে পারবে, এই ভাবে আমরা হয়তো একটা ইলেক্টোরাল পলিটিকেল পোছেছে জাইতে পারবো ধিরে!
কিন্তু ছ্যাড ব্যাপার হইলো, ঐটা আশলে অক্ষমের উইশফুল থিংকিং, পলিটিকেল ছিস্টেম ঠিক করা না গেলে ভালোরা ভালো থাকতে পারে না, হয় ছিস্টেমে জয়েন করতে হবে অথবা মরতে হবে! পলিটিক্স এড়াইয়া আখের গুছানো শম্ভব না!
ছো, ঐ জেনারেশনকে জারা পছন্দ করেন, জাফরুল্লার ভক্ত জদি আশলেই বেশুমার থাকেন, তাদের দায়িত্ত হইলো পলিটিক্স করা, ওনাদের গলদ আর না পারা উতরাইয়া ওঠা, ওনারা পলিটিক্স করেন নাই বইলা, খমতা এড়াইয়া থাকতে চাইছেন বইলা জদি লাইক করেন ওনাদের, শেইটা আশলে বেহুদা ঘটনাই!
এই ভক্ত লোকগুলা আশলে ‘ছুইলাম পানি, ধরলাম না মাছ’ কিছিমের, জাফরুল্লাদের তারিফ আর দিনদুনিয়া লইয়া হা-হুতাশে পার করে জিন্দেগি, তাহাদের বেহুদা জিন্দেগি।
#রকমশাহেরবয়ান, ২২ এপ্রিল ২০২৩
Leave a Reply