
আমাদের দেশের পুরা ইতিহাসের খুব সামান্য সময় গনতান্ত্রিক ছিল।
যেই সময়টাতে ছিল সেইটাও এক সর্বশক্তিমান সেন্ট্রালাইজড একজেকিউটিভ ব্রাঞ্চের নিচে চেক ব্যালেন্স, স্বাধীন জুডিশিয়ারি ইত্যাদি বিহীন খোড়া একটা গনতন্ত্র।
এই দেশের মানুষের অভিজ্ঞতায় রিপাবলিকান গভার্নমেন্ট নাই। এই দেশের মানুষের এজেন্সি নাই, লিবার্টি নাই। এক স্ট্যাগন্যান্ট হবুচন্দ্র রাজার দেশে বসবাসই আমাদের বাস্তবতা।
রিপাবলিকান রাষ্ট্রে সিটিজেনশিপের সৌভাগ্য আমাদের কোনদিন হয় নাই। কিন্তু আমাদের শিক্ষিত/প্রগতিশীল ইতররা সুযোগ পাইলেই “দেশের মানুষ গনতন্ত্রের যোগ্য না” এইসব কথা শুনায়া দেয়।
হিরো আলম ভোট পাইছে দেখে মানুষের জ্বলনের শেষ নাই।
আমি বুঝি জ্বলনের উদ্দেশ্য কি। ভেতরে ভেতরে এই দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত ইতর আসলে ইউনিভার্সাল ফ্র্যাঞ্জাইজির বিরোধী। এক মানুষ এক ভোটে তাদের আস্থা নাই। তারা পোল ট্যাক্স চায়, শুধু শিক্ষিত মানুষের ভোট চায়, শুধু শিক্ষিত মানুষ ভোটে খাড়াক সেইটা চায়। গনতন্ত্র তাদের কাছে এলিটপন্থার একটা জাস্টিফিকেশন। যদি অশিক্ষিত মূর্খরা তাদের মত পড়ালেখায় ভুট না দেয়, তাইলে তাদের ভোটের অধিকার কাইড়া নিতে চায়, অথবা কাইড়া নেয়ার নীরব সমর্থন দেয়।
লজ্জা শরম এইসব ইতরের কোনদিন ছিল না, কোনদিন হবে বলেও আমার মনে হয় না।
আমার মনে হয় যদি সত্যিই আমরা ইউনিভার্সাল ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে সরে আসি, যদি সত্যিই ভোটের এলিজিবিলিটি বইলা বয়স বাদে অন্য কিছু দাড়া করাইতে চাই, তাইলে প্রথমে এইসব শিক্ষিত ইতরদের বাদ দেয়া যাইতে পারে।
যেমন ধরেন ঢাবি থিকা পড়ছেন, আপনের ভোট নাই। বুয়েটে গেছিলেন আপনি ইলেকশনে খাড়াইতে পারবেন না। আপনাগো দরকার নাই এই দেশের গভার্নেন্স প্রসেসের সাথে থাকার। আপনার ঘিন্না ছাড়া কিছু পারেন না। বাসায় বসে ঘিন্না চর্চা করেন, দেশ গরীব অশিক্ষিতরা ভালৈ চালাইতে পারবেন। দেশ চালানো রকেট সায়েন্স না, সেইটা বইপত্র পড়ে ভালো দেশ চালানো শিখা যায় না। দেশ চালানো কনশেনসাস বানানোর বিষয়। দেশের অধিকাংশ মানুষকে ঘিন্না করে আপনারা গুড ফেইথে সেইটা কোনদিনও পারবেন না।
যারা হিরো আলমকে ভোট দিছেন, তাদের সংগ্রামী অভিনন্দন। আপনারা আপনাদের কনস্টিটিউশনাল ডিউটি পালন করছেন। যারা আপনাদেরকে ওয়ারেন্ট ছাড়া ধইরা নিয়া যাইতেছে আর গ্রেপ্তার না দেখায়া কোর্টে সোপর্দ করার পরিবর্তে থানায় আটকায়া রাখতেছে, তাদেরকে ভোট দেওনের চাইতে, হিরো আলম হাজার গুনে ভালো ক্যান্ডিডেট।
শিক্ষার ইতরামি থেকে আমরা দূরে থাকি।
…
আরিফুল হোসেন তুহিন
Leave a Reply